পাঁচ দিনের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শুরু করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সফরের প্রথম দিনে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে তিনি পৌঁছান ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে শি’র এ সফরকে কৌশলগত ও কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। দুই দিনের ভিয়েতনাম সফরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট লুওং কুওং, প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরের আগে ভিয়েতনামের প্রভাবশালী দৈনিক নান ড্যান-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে চীনা প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “বাণিজ্যযুদ্ধ ও শুল্কযুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। সুরক্ষাবাদ কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিক বাণিজ্যব্যবস্থা রক্ষা করা, আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং একটি উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
এই প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া সফরকে কৌশলগত দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এই তিন দেশের সঙ্গেই চীনের রয়েছে দৃঢ় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক।
সফরসূচি অনুযায়ী, শি জিনপিং ১৪-১৫ এপ্রিল ভিয়েতনামে অবস্থান করবেন। এরপর ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিল মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া সফর করবেন। তথ্য অনুযায়ী, কম্বোডিয়া (৪৯%), ভিয়েতনাম (৪৬%) এবং মালয়েশিয়া (২৪%) বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক হ্রাসের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চীনের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে দেশটি এই আলোচনার বাইরে রয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।